#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : (১) জেলায় করোনা সংক্রমণের বিরাম নেই! ২৬ জুন জেলায় নুতন করে আক্রান্ত হলেন আরও ৫ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩৭ জন। পাশাপাশি নুতন করে সুস্থ হয়ে ছাড়া পাওয়ারও কোনো খবর নেই। জেলায় সক্রিয় আক্রান্ত রয়েছেন ৫৭ জন। আর জেলায় এপর্যন্ত সেরে উঠেছেন ১৮০ জন। করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোনো ঘটনা নেই জেলায়। আজকের কোভিড বুলেটিন থেকে ২৬ জুনের নিরিখে এউ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
(২) করোনা আবহে এবার ডেঙ্গি রোধে শহরের বিভিন্ন ছোটো পুকুর, ও জল জমে মশার বংশ বৃদ্ধি করে এমন খাল বা জলাশয়ে গাপ্পি মাছ ছাড়ার প্রস্তাব দিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকে এই মাছ ছাড়ার কাজ শীঘ্র শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন জেলার মুখ্য আধিকারিক ডাঃ শ্যামল সরেন।
(৩) লক ডাউনে পিন হাতিয়ে অনলাইনে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রতারণা চক্র সক্রিয় জেলায়। পাত্রসায়রের তালসাগ্রা গ্রামের এক চপ বিক্রেতাকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এটিএম কার্ড ব্লকের ভয় দেখিয়ে ওটিপি হাতিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ৫১ হাজার টাকা প্রতারণা করে। গরীব চপ বিক্রেতা শিবরাম গরাই ১০ বছর ধরে অনেক কষ্টে এই টাকা জমিয়ে ছিলেন। সব হারিয়ে দিশেহারা সে।
(৪) কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের জন্য রাজ্যের সাথে বাঁকুড়া জেলাও বঞ্চনার শিকার। তার ফলে জেলার মানুষকেও নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। করোনা থেকে আমফান সব ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বঞ্ছনা করছে এবার তা আম জনতার কাছে তুলে ধরতে বিশেষ কর্মসুচী নিচ্ছে জেলা তৃণমূল। আজ জেলা তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কর্মসুচীর কথা ঘোষণা করেন বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল।
(৫)করোনা আবহে কালবৈশাখী ও আমফানের আস্ফালনের ফলে চাষে মার খেয়েছেন জেলার চাষীরা। তাই আমন চাষে জেলার ১০০% চাষীকে বিমার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে জেলার কৃষি দপ্তর। চাষীর বিনা মূল্যে এই বিমার সুযোগ নিতে পারবেন। অনলাইনে বা পঞ্চায়েত বা কৃষি দপ্তরে আবেদন পত্র সংগ্রহ করে তা জমা দিলেই বিমার আওতায় চলে আসবেন। তবে তা করতে হবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে। জেলার উপ কৃষি আধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র জানান জেলাতে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার জমিতে আমন চাষ হয়ে থাকে। আর এই চাষে প্রায় ৪ লাখ কৃষক পরিবার যুক্ত। গত বছর এর মধ্যে ২লাখ ৯৯ হাজার ২৬৮ জন বিমার আওতায় ছিলেন। এবার তা ১০০ শতাংশ করতে চায় কৃষি দপ্তর।
(৬) আজ বিপদতারিনীর ব্রত। মন্দিরে,মন্দিরে ছিল পূজো দেওয়া আর বিপদ থেজে রক্ষা পাওয়ার জন্য হাতে বিপদ মুক্তির তাগা অর্থাৎ দূর্বা ঘাস জড়ানো লাল সুতো পরার ভীড়। শহরের বড়ো কালী মন্দিরে এমনই চিত্র ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়।
(৭) গেরুয়া ও লাল দুই শিবিরে বড়ো ভাঙ্গন ধরাল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এদিন জেলার জয়পুরের আটটি অঞ্চল থেকে প্রায় ৭০০ পরিবারের ২২০০ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। তাদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।
(৮) পেট্রোপন্যের লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ কোতুলপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসে শিহড়ে মহামিছিলের ডাক দেয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এদিন পথ সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
(৯) শহরের একটি হিমঘরে বাম শ্রমিক সংগঠন গুলি আগামী ৩ রা জুলাইয়ের প্রতিবাদ দিবস পালনের প্রস্তুতি হিসেবে কনভেনশনের আয়োজন করে। এতে অংশ নেয়ে প্রস্তাবের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা,অনাথ মল্ল, প্রতীপ মুখোপাধ্যায়,ভাষ্কর