‘তোমরা এসেছো, লিখিত অভিযোগ দিয়েছো, আমি তোমাদের কথা শুনেছি, ডকুমেন্ট হিসেবে লিখিত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছি। কিন্তু নির্বাচন বাতিল কিংবা পুনঃতফসিলের ঘোষণা করতে পারবো না। সে শক্তি ক্ষমতা আমার নাই। কমিটি আছে, সেখানে বিষয়টি উপস্থাপন করবো। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। যদি তোমরা না মানো তবে, পারলে মামলা করতে পারো।’
ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনসহ অধিকাংশ প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করার পর নির্বাচন বাতিল, ভোট জালিয়াতির তদন্ত, ডাকসু নির্বাচনের পুনঃতফসিলের দাবিতে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এস এস মাহফুজুর রহমানের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
পরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন প্রার্থীরা। সাক্ষাৎকালে উপাচার্য কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে লিখিত অভিযোগে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী লিটন নন্দী, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এ আর এম আনিসুর রহমান, একই পদে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের প্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজির, স্বতন্ত্র জোটের সহ-সভাপতি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রাশেদ খান স্বাক্ষর করেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদানে বাধা দান, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া, কারচুপি, প্রার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা, ভোট বাক্স নিয়ে লুকোচুরি, ভোট দেয়ার পরও লাইনে দাঁড়িয়ে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনসহ অধিকাংশ প্রার্থীরাই নির্বাচন বর্জন করেছি।
এ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। কোনো ক্রমেই এই প্রহসনের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করা যাবে না। অতএব নির্বাচনটি বাতিল ও পুনঃতফসিল ঘোষণার আশু পদক্ষ