এখনো ছেলের জন্য পথ চেয়ে আছেন ১০৬ বছর বয়সী বৃদ্ধা মজিরন বেওয়া। কিন্তু, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ছেলে আব্দুল মজিদ আহম্মেদ মায়ের কাছে ফিরেন নি।
গত ১০ বছর আগে মায়ের কাছ থেকে চলে গেছেন ঢাকায়। স্ত্রী সন্তান নিয়ে এখন সেখানেই থাকেন তিনি। এরপর আর একবারের জন্যও তিনি মায়ের মুখটি দেখার জন্য আসেন নি। অথচ এলাকায় তিনি প্রতিনিয়ত আসচ্ছেন আবার ঢাকায় ফিরে যাচ্ছেন।
ঘটনাটি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের ভরুয়া গ্রামে। বৃদ্ধা মজিরন বেওয়া ওই গ্রামের মৃত হযরত আলী সরকারের স্ত্রী।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর অনলাইন নিউজপোটাল জাগোনিউজ২৪.কম কুরবানির দিন মাংসের জন্য বসে ছিলাম, কিন্তু পাঠায়নি শিরোনামে এই অসহায় বৃদ্ধা মাকে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বৃদ্ধা মজিরন বেওয়ার ছেলে মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ছেলে আব্দুল মজিদ আহম্মেদ জাগো নিউজের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এক পর্যায়ে জাগো নিউজের অফিসে ফোন করে তিনি মামলাও হুমকি দেন।
এ নিউজ প্রকাশের পর ছেলে মায়ের কাছে গেল কীনা বিষয়টি জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন অনেক পাঠক। এ নিয়ে জাগো নিউজের অফিসে ফোন করেন অনেকেই। বিষয়টির ফলোআপ জানতে চান তারা।
এ ঘটনায় সর্বশেষ কি হলো সেটিও প্রকাশ করার অনুরোধ করেন অনেক পাঠক। পাঠকের সেই অনুরোধে জাগো নিউজের এই প্রতিবেদক আবারো ছুটে যান টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের ভরুয়া গ্রামে। সেখানে গিয়ে কথা হয় বৃদ্ধা মজিরন বেওয়ার সঙ্গে। কথা হয় বৃদ্ধার নাতিসহ প্রতিবেশিদের সঙ্গেও।
এলাকাবাসী জানায়, আব্দুল মজিদ আহম্মেদ মহান মুক্তিযুদ্ধের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। চাকরি করেছে পুলিশে। উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছিলেন।
চাকরি আর পৈত্রিক অংশীদার সূত্রে তিনি একজন স্বচ্ছল ব্যক্তি। পৈত্রিক সূত্রে গ্রামে পাওয়া চল্লিশ শতাংশ আর নিজস্ব প্রায় ৪ একর জমির মালিক তিনি। ২০ শতাংশ জমির উপর একটি বাড়ি গড়ে তুলেছেন প্রায়। আবাদি জমিতে সারা বছরই হচ্ছে ধানসহ নানান কৃষিপণ্য।
রয়েছে ৪০ শতাংশ জমি উপর একটি পুকুর। সেখানে মাছ চাষ হচ্ছে। এরপরও রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা। বৃদ্ধার ছোট ছেলে মজনুও ঢাকায় থাকেন। সেখানে চাকরি করে কোনো রকমে দিনাতিপাত করছেন। তিনিও ব?