‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে মোট ১২২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্রভেদে প্রতিটিতে (পুরুষ ও মহিলা) ছয় থেকে ১২টি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথে কমপক্ষে দুইজন করে পোলিং এজেন্ট দিলেও প্রয়োজন ১২ থেকে ২৪ জন। গড়ে ১৬ থেকে ১৮ করে হলেও প্রয়োজন দুই হাজারেরও বেশি পোলিং এজেন্ট। প্রতিদিন যেভাবে ধরপাকড় চলছে তা অব্যাহত থাকলে এত পোলিং এজেন্ট পাব কোথায়?’
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা কেমন চলছে? জিজ্ঞাসা করতেই অনেকটা ক্ষোভ ও হতাশামিশ্রিত কণ্ঠে এমনটাই মন্তব্য করলেন ঢাকা-৭ আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা মোহসীন মন্টু।
আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকি, অপরদিকে পুলিশের গ্রেফতার ও ভয়ভীতির কারণে নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে পারছে না। ভাড়া করা লোক দিয়ে পোস্টার লাগাতে গেলেও বাধা দিচ্ছে। টাকা-পয়সা কেড়ে নিচ্ছে। পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছে।
বিকেলে তার এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় চকবাজার এলাকার দুজন কর্মী দেখা করতে এলে বাসা থেকে বের হওয়া মাত্র তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে বলে তিনি জানান।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সংসদীয় আসনে প্রচার-প্রচারণায় এখনও পিছিয়ে আছেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা। সে তুলনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রচারণা তুঙ্গে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে রাতঅবধি প্রার্থীরা কখনও নিজে উপস্থিত থেকে আবার কোথাওবা নেতাকর্মীরা প্রার্থীর পক্ষে মিছিল বের করছেন। পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে রাজপথ থেকে পাড়া-মহল্লার অলিগলি। সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা এমনকি রাতেও জমজমাট থাকছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্প।
তবে প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে থাকলেও নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে এখনও ভীষণ আশাবাদী বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা। ঢাকা-৭ আসনের প্রার্থী মোস্তফা মোহসীন মন্টু মনে করেন, মাঠে নামতে না পারলেও তাদের লাখ লাখ নীরব ভোটার রয়েছে। তারা নীরবে ভোট প্রদান করে ভোট বিপ্লব ঘটাবে।
এদিকে ঢাকা-১০ আসনের সর্বত্র বর্তমান সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপসের পোস্টার-ব্যানার শোভা পেলেও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী