চীন ভারতের এক নম্বর শত্রু, আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে : মুলায়ম
ভারতের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব বলেছেন, চীন ভারতের এক নম্বর শত্রু, ভারতে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ (বুধবার) সংসদে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
মুলায়ম সিং যাদব আজ ভারত-চীন সীমান্তে উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।
তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে বলেন, ‘ভুটানকে রক্ষা করতে এবং চীনের সাম্ভাব্য হামলার জবাব দিতে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে?’
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে তিব্বতকে চীনকে দেয়া। আমি এবং সোমনাথ চ্যাটার্জি বলেছিলাম তিব্বত দিলে চীন রাস্তা পেয়ে যাবে। তিব্বত চীনকে দেয়া উচিত হয়নি। চীন ভারতকে সবচেয়ে বড় শত্রু ভাবে।’
মুলায়ম সিং যাদব বলেন, ‘চীন এবং পাকিস্তান একসঙ্গে কাশ্মিরে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ দিচ্ছে। কাশ্মিরে চীন ও পাকিস্তান একসঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছে। তিব্বতের আজাদির দাবিকে পুনরায় সমর্থন করা উচিত। ভুটানকে রক্ষা করা ভারতের দায়িত্ব। ভুটানকে চীন কবজা করছে।’
সিকিমের ডোকালাম সীমান্তে চীন এবং ভারতের সেনাবাহিনী গত এক মাস ধরে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। চীন ভারতকে সেনা অপসারণের জন্য বলছে, অন্যথায় সেদেশের গণমাধ্যমে যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও দেয়া হচ্ছে।
গতকাল চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তারা যেন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণ করার জন্যে ডোকালামে অনধিকার প্রবেশ না করে। ভবিষ্যত সংঘাত এড়াতে অবিলম্বে যেন দিল্লি ডোকালাম থেকে সেনা সরিয়ে নেয় বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
এসব ঘটনার মধ্যেই উত্তর তিব্বতে চীন বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামসহ সেনাবাহিনী নিয়ে গেছে। একটি সূত্রের দাবি, গত জুনের শেষের দিকে তিব্বতে চীনা সেনাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ঠিক সেই সময় থেকে ডোকালাম ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে চীনের সংঘাত শুরু হয়।
গত প্রায় এক মাস ধরে ভুটানের ডোকালাম এলাকায় চীনের সড়ক নির্মাণ পরিকল্পনায় বাধা দিয়ে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে রেখেছে ভারত। ওই ঘটনা থেকে দু’দেশের মধ্যে বিবাদ চরমে উঠেছে।
২০১৭-০৭-১৯