প্যাধলজিক্যাল টেস্ট মারাত্মক ক্ষতিকর এবং ভুয়া - ডাঃ বশীর মাহমুদ ইলিয়াস

Views 59

প্যাথলজিক্যাল টেস্ট মারাত্মক ক্ষতিকর
http://bashirmahmudellias.blogspot.com/
https://bashirmahmudellias.wordpress.com/

প্রথম কথা হলো ডাক্তাররা তাদের পেশাগত ডিগ্রি অর্জনের জন্য যত ব্যাপক পড়াশোনা করেন, তাতে ৯৫ ভাগ রোগ তারা কোন প্রকার টেস্ট না করেই নির্ণয় করতে পারেন। রোগীকে পাঁচ-দশটি প্রশ্ন করলেই তিনি রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডাক্তাররা এক বস্তা টেস্ট দেন, তাদের দ্বায়িত্ব ফাঁকি দেওয়ার জন্য এবং ডায়াগনস্টিক কোম্পানির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা কমিশন খাওয়ার জন্য। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে, ডাক্তার সাহেব টেস্ট দেওয়া প্রয়োজন মনে করেন না অথচ রোগীরাই জোর করে টেস্ট লিখিয়ে নিচ্ছেন। ভাবখানা এমন যে, এসব টেস্ট করা খুবই জরুরি কিংবা শরীরের জন্য সাংঘাতিক উপকারী। অনেকে প্রত্যাশা করতে পারেন যে, চিকিৎসা কাজে গোজামিল থাকলেও প্রচলিত রোগ নির্ণয় পদ্ধতি (pathology) নিশ্চয় একশ ভাগ বিজ্ঞানসম্মত। কেননা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে খুবই উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিয়তির পরিহাস যে, বাস্তব পরিসংখ্যান এমনটা প্রমাণ করে না। সমপ্রতি দুইজন রোগ নির্ণয় বিজ্ঞানী (pathologist) ৪০০ রোগীর মৃতদেহ ময়না তদন্ত (autopsy- postmortem) করে দেখতে পেয়েছেন যে, অর্ধেকেরও বেশী রোগীর ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় ভুল ছিল। সহজ কথায় বলতে গেলে বলতে হয় যে, এদেরকে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল এবং আরো সহজ কথায় বলতে গেলে বলা যায় যে, ভুল চিকিৎসার কারণেই এদের মর্মান্তিক অকালমৃত্যু হয়েছে। হায় ডাক্তার ! হায় রোগ নির্ণয় !! হায় ঔষধ !!! হায় এলোপ্যাথি !!!! এই দুইজন প্যাথলজিষ্ট তাদের গবেষণায় আরো দেখিয়েছেন যে, অত্যাধুনিক সব প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করার পরও ১৩৪ টি নিউমোনিয়ার কেইসে ৬৫ টির বেলায় ডাক্তাররা রোগ নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং ৫১ টি হার্ট এটাকের ক্ষেত্রে ১৮ টিতে রোগ নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য বলা হয় যে, অজ্ঞতা এখনও ডাক্তারী পেশায় মাশায়াল্লাহ তার দাপট বজায় রেখেছে। হ্যাঁ, প্যাথলজিক্যাল টেস্ট হলো আরেকটি বড় ধরণের প্রতারণা।

অধিকাংশ হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্যাথলজিক্যাল টেস্টকে একশ বছর আগেও “রক্ত গণনার ফ্যাশন“ (blood counting fashion) নামে অভিহিত করে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতেন, এখনও তাই মনে করেন। কেননা এগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাই-টেক প্রতারণা। যেমন ডাক্তাররা বলবে যে, আপনার রক্তের অমুক উপাদানের মাত্রা বেড়ে গিয়ে আপনার অমুক রোগ হয়েছে। তারপর এক বস্তা ক্ষতিকর ক্যামিকেল ঔষধ খাওয়ানোর পর দেখা গেলো যে, আপনার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক এসেছে। ডাক্তার বলবে, এখন আপনি সুস্থ (!) অথচ বাস্তবে আপনার অবস্থা আগে চাইতেও খারাপ হয়ে গেছে। আবার অনেক সময় ব্লাড টেস্ট, পায়খানা, প্রস্রাব, এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, এমআরআই, সিটিস্ক্যান ইত্যাদি ইত্যাদি অসংখ্য টেস্ট করে রিপোর্ট দেখে বলবে, আপনার কোন রোগই নাই ; অথচ ব্যথার চোটে আপনার দম বেরিয়ে যাচ্ছে, ঘুম হারাম হয়ে গেছে ! কেউ কেউ মনে করতে পারেন যে, এসব প্যাথলজিক্যাল টেস্টে কেবল টাকা নস্ট হয় কিন্তু শরীরের কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু এটি একটি বিরাট ভুল ধারণা। রক্ত পরীক্ষার জন্য সুই

Share This Video


Download

  
Report form
RELATED VIDEOS