বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প (এডিপি) নিয়ে রংপুর জেলা পরিষদের নারী সদস্য পারভীন আক্তারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানমকে অবরুদ্ধ করে রাখেন দলীয় নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১টার দিকে ছাফিয়া খানম নিজ কার্যালয়ে গেলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীসহ জেলা পরিষদের কয়েকজন সদস্য তার কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এসময় ছাফিয়া খানম অফিস কক্ষের সামনে প্রায় ১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকেন। পরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে অফিস কক্ষের তালা খুলে দেয়া হয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য বেলা ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজুর নেতৃতে উভয়পক্ষের বৈঠক চলছিল।
এর আগে সোমবার বিকেলে রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানমের হাতে নারী সদস্য পারভীন আক্তার লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। এসময় চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানম অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন পারভীন আক্তার। সোমবারের ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ জাগো নিউজের হাতে এসে পৌঁছায়।
এতে দেখা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের একটি প্রকল্পের সংশোধনী আনার বিষয়ে কথা বলতে বিকেল ৫টার দিকে চেয়ারম্যানের কক্ষে যান সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পারভীন আক্তার। কথা বলার এক পর্যায়ে ছাফিয়া খানম চেয়ার থেকে উঠে এসে পারভীনকে মারার জন্য উদ্যত্ত হন। এসময় পারভীনও তার দিকে তেড়ে গেলে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও অশালীন ভাষায় গালাগালির ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কাশেমসহ অন্যরা উভয়কে নিবৃত করার চেষ্টা চালান।
ঘটনার পর চেয়ারম্যান অফিস থেকে বেরিয়ে গেলেও ওই কক্ষেই অবস্থান করেন সদস্য পারভীন আক্তার। পরে খবর পেয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, পারভীন আক্তারের স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান সোহেলসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পারভীন আক্তার অভিযোগ তোলেন যে, রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানম তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেছেন এবং অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই পারভীন আক্তার কোতোয়ালি থানায় লিখিত