নদীর বুকে সূর্যাস্তের এই অস্তমিত হওয়ার দৃশ্য দেখে অনেকেরই হয়তো মনে দোলা দিতে পারে। কিন্তু কারো কারো মনে এই সূর্য অস্ত যাওয়াই যেন বেদনার এক নতুন কাব্য। কেননা এই যে অথৈ পানি দেখা যাচ্ছে, এই পানিতেই তলিয়ে গেছে কিছু মানুষের বসতভিটা। নদীর ঢেউ গুলো আছড়ে পড়ছে পারে,আর ভেঙ্গে পড়ছে পাড়ের মাটি। স্বপ্ন গুলো যেন ফিকে হতে শুরু করেছে। গত ৩ আগষ্ট রাত আটটা কি নয়টার দিকে মেঘনার করাল ঘ্রাসে চাঁদপুর পুরাণবাজার, হরিসভা এলাকার বেশ কটি পরিবারের স্বপ্ন পানিতে তলিয়ে যায়। তিলে তিলে গড়া বসত ভিটা এক নিমিশেই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অথৈ মেঘনার বুকে হারিয়ে যায়।
সে ঘটনা বলতে গিয়ে এখনো আঁতকে উঠেন কালীপদ চক্রবর্তী.....
এদিকে মেঘনা তীরবর্তী আশে পাশের মানুষগুলোর মধ্যে বিরাজ করছে আতংক।
প্রায় ২০০ মিটারের মত নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে।
নিস্তব্দ তাকিয়ে দেখা ছাড়া যেন আর কিছুই করার নেই। নদীর একূল ভাঙে ওকুল গড়ে এই তো নদীর খেলা।
নদী তীরবর্তী অনেকেই তাঁদের বসত ভিটা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন।
তবে আশার কথা হচ্ছে খুব দ্রুতই ভাঙন ঠেকাতে চাঁদপুরের স্থানীয় প্রশাসন এবং চাঁদপুর-৩ আসনের মাননীয় এমপি ডা. দীপু মনি পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। সর্বক্ষণই খোঁজ খবর রাখছেন দুর্গত এ মানুষগুলোর।
এদিকে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এএম এনামুল হক শামীম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে জানালেন,ভাঙ্গন রোধে এগারো শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে।