মুসলমান ধর্মালম্বীদের কাছে তসবীহ মহান আল্লাহ্ তাআলার ইবাদতের একটি উপকরণ। অনেকেই নামাজের পরে তসবীহ পাঠ করে থাকেন। তসবীহ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ্ তাআলাকে স্মরণ করার পাশাপাশি ইবাদতকারী আল্লাহ্ তাআলার শান-মান বর্ণনা করেন। এই তসবীহ দিয়েই এবার বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার এক যুবক। প্রায় সাড়ে চার হাজার ফুট লম্বা তসবীহ তৈরি করেছেন উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের আব্দুল্লাহ্ আল হায়দার।
ধর্মীয় মূল্যবোধের পাশাপাশি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে এ তসবীহ তৈরি করেছেন তিনি। চার রঙের ১ লক্ষ ৬৭,৫০০টি পুঁথি দিয়ে তসবীহটি তৈরি করা হয়েছে। দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা এই তসবীহটির ওজন ৬৭টি কেজিরও বেশি বলে জানিয়েছেন হায়দার।
তার দাবি, পুঁথি দিয়ে তৈরি এ তসবীহ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সর্ববৃহৎ তসবীহ। এটিকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ তসবীহ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ইতোমধ্যে তিনি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদনও করেছেন।
জালশুকা গ্রামের শরীফ আব্দুল্লাহ্ হারুন ও খোশ নাহার বেগম দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে সবার ছোট হায়দার। পড়ালেখা শেষ করে এখন বাড়িতেই অলস সময় কাটছে তার। তাই এই অলস সময়টাকে কাজে লাগানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেন এমন কিছু করার যাতে রেকর্ড গড়া যায়। তাই মা খোশ নাহার বেগমের অনুমতি নিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ তসবীহ তৈরির কাজ শুরু করেন।
গত ২ জানুয়ারি থেকে তসবীহ তৈরির কাজ শুরু করেন হায়দায়। এ কাজে মো. আরিফুল ইসলাম নামে তার এক বন্ধু সহযোগিতা করেন। প্রায় দুই মাস কাজ করে তসবীহটি তৈরির কাজ সম্পন্ন করেন তারা।
সরেজমিন হায়দারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির একটি কক্ষের মেঝেতে কাপড়ের উপর বিশাল আকৃতির ওই তসবীহটি রাখা হয়েছে। এ তসবীহর খবর পেয়ে অনেকেই উৎসুক হয়ে এটি দেখার জন্য এখন হায়দারের বাড়িতে আসছেন। তবে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি পেলে তসবীহটি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে উপহার দিতে চান হায়দার। তুরস্কের ইস্তাম্বুলের তাশামালিজার সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় এশিয়া-ইউরোপের সবচেয়ে বড় মসজিদ ‘তাশামালিজা মসজিদ’ নির্মাণের কারণেই হায়দার তার তসবীহটি এরদোয়ানকে উপহার দিতে চান বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ্ আল হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, ইন্টারনেট ঘেটে দেখে