ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে ছাত্রলীগ প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে সিল মারা এক বস্তা ব্যালট পেপার উদ্ধার হওয়ার ঘটনাকে ‘গুজব’ বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস প্রার্থী গোলাম রব্বানী।
তিনি বলেন, (নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়) আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে মেয়েরা নির্যাতিত হচ্ছে- এমন গুজব ছড়ানো হয়েছিল। ঠিক একই ধরনের গুজব ছড়িয়ে ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা চলছে।
গোলাম রাব্বানী বলেন, ছাত্রলীগের সমর্থিত প্রার্থীরা মেয়েদের হলে আগেই ভোটের ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বক্স ভরার বিষয়টি গুজব ছড়ানো হয়েছে। যারা এই গুজব ছড়িয়েছে তাদের কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি। কেউ কোন প্রমাণ দিতেও পারেনি। ডাকসু নির্বাচনে জিএ প্রার্থী অনিক, নুরু ও আমি মিলে কেন্দ্রে ঢুকে সকলে মিলে অভিযান চালিয়েছি। কোথাও কোনো সিল মারা ব্যালট পেপার পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ভেতরে কী দেখেছে তা সকলের সামনে নুরুকে আমি বলতে বলেছি, কিন্তু নুরু কিছু না বলে চুপ করে ছিল। তারা শুরু গুজর ছড়িয়ে এ নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। তবে নির্বাচন হবে, কেউ ঢেকাতে পারবে না।
মেয়েদের হলে আগেই তিনটি ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে- সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে বব্বানী বলেন, মেয়েদের হলে তিনটি ব্যালট বাক্স পাওয়া গেছে, সেখানে শুধু ওএমআর সিট পাওয়া গেছে। সিল মারা কোনো ব্যালট পেপার পাওয়া যায়নি।
কোটা আন্দোলনের নেতা ও ডাকসু নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদপ্রার্থী নুরুল হক নুরকে ছাত্রলীগের নারী প্রার্থীরা কেন পিটিয়েছে? প্রশ্ন করলে গোলাম রব্বানী বলেন, নুরু আমার বোনদের গালাগালি করেছে। আমার সমর্থকদের ভয়-ভীতি দেখিয়েছে। কে মেরেছে তাকে? তার মাইরের চিহ্ন দেখান, সে (নুরু) মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের এই মিথ্যা গুজব টিকবে না বলেই তারা পালিয়েছে। নুরু হলে ঢুকেছে ৩০ জন নিয়ে, আমি জিএস প্রার্থী, আমি এ হলে একাই প্রবেশ করি। সৎ সাহস আছে বলেই আমি একা ঢুকেছি, আর তারা পালিয়ে গেছে।
নুরু কেন পালিয়ে গেল এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ও (নুরু) বুঝতে পারছে আমাদের পক্ষে গণরায় আসছে। আমাদের বোনরা ছাত্রলীগকে ভোট দিচ্ছে। ওরা পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই পালিয়ে গেছে। ছেলেদের হলগুলোতে সুবিধা করতে না পেরে মেয়েদের