একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য হতে চান তারা। এসেছেন মনোনয়নপত্র কিনতে। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে করছেন শোডাউন। নিজেদের শক্তি আর সামর্থ্যের জানান দিচ্ছেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু প্রার্থীদের কাছে শুক্রবার থেকে মনোনয়ন বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। ওইদিন প্রথম মনোনয়নপত্রটি কেনা হয় দলের সভাপতি শেখ হাসিনার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এ মনোনয়নপত্র দেয়া হচ্ছে।
প্রথম দিন রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন আসনে প্রায় এক হাজার ৪০০'র কাছাকাছি ফরম বিক্রি হয়। আজ (শনিবার) দ্বিতীয় দিনেও মনোনয়নপত্র কেনার জন্য কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।
বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ধানমন্ডি কার্যালয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক এমপি, মন্ত্রী, কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতা, জেলা-উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা রয়েছেন। মনোনয়নপত্র কিনতে অনেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানীতে ছুটে এসেছেন।
তারা সবাই দলবল নিয়ে শোডাউন করছেন। তবে ঢাকার বাইরের নেতার তুলনায় রাজধানীর মনোনয়নপ্রত্যাশীদের শোডাউন চোখে পড়ার মতো ছিল।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে বেশ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী বলেন, দেশের অর্থনীতিসহ সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। এ কারণে তারা নৌকার মাঝির দায়িত্ব নিতে চান। তবে এমপি হওয়ার টিকিট পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে তারা দুঃখ পাবেন না। নির্বাচনী বৈতরণী পেরিয়ে জয়ী হয়ে আবার ক্ষমতায় আসার জন্য দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন তাকেই তারা বিজয়ী করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবেন।
ধানমন্ডি কার্যালয়ের অদূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এহতেশামুল আলম। আজ সকালেই নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকা থেকে মনোনয়ন সংগ্রহের জন্য ছুটে এসেছেন ঢাকায়।
তিনি জানান, ময়মনসিংহ সদর-৪ আসনে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক তিনি। এজন্য তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে এসেছেন। তবে দলীয় সভাপতি তাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কাউকে দিলেও তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওই প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন। এ ক্ষেত্রে নেত্রী?