ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এরআগে ৪০ জন আসামিকে ফেনী জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ান মো. সফিউল্লাহর আদালতে হাজির করা হয়।
বুধবার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকায়, ঘটনাস্থল একাডেমি এলাকার ২ জন দোকান কর্মচারী জাহিদ হোসেন রাব্বি ও মো. সোহেল আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। আগামী ১০ মে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। এসময় মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরী আদালতে হাজির হন।
ফেনী জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ জানান, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার সক্ষ্যগ্রহণের ধার্যকৃত দিনে ২ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আগামী ১০ মে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
জানা যায়, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান একরাম হত্যার ঘটনায় গত বছর ২৮ আগস্ট মোট ৫৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ পর্যন্ত ৪৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার বাকি ১২ জন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। ৫৬ জন আসামির মধ্যে একমাত্র বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরী ছাড়া অন্য সব আসামি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
উল্লেখ্য, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক একরামকে ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় ফুলগাজী উপজেলায় যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। একই বছরের ২৮ আগস্ট ফেনী মডেল থানা পুলিশ ৫৬ জনকে আসামি করে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে। পুলিশ এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।