২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে আন্দোলনের পর থেকেই প্রবল চাপের মুখে কৃষক আন্দোলনের নেতারা, এর উপর প্রশাসনের গাজীপুর এলাকা ছাড়ার নির্দেশে আরও কোণঠাসা তাঁরা। ২৬ জানুয়ারির হিংসাত্মক ঘটনার পর গাজিপুর, কৃষকদের প্রতিবাদস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী। গাজিয়াবাদ জেলা প্রশাসকের তরফে এলাকা খালি করার নির্দেশ আসে, এরপরই ধাপে ধাপে আন্দোলনকারীরা আসতে আসতে নিজেদের ঘরে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। প্রতিবাদস্থলে নেই বিদ্যুৎ পরিষেবা, জল সরবরাহতেও বিঘ্ন ঘটানো হয়েছে। কিন্তু আচমকাই রাকেশ টিকাইতের সৌজন্যে পরিস্থিতি বদলে যায়, তিনি মঞ্চে উঠে জোরাল কন্ঠে আত্মসমর্পণ না করার কথা জানান। চোখের সামনে গোটা পরিস্থিতি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাকেশ টিকাইত, তাঁকে দেখে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও কৃষক এসে যোগ দেন গাজিপুরে। \"দরকারে আত্মহত্যা করব। কিন্তু আন্দোলন বন্ধ করব না\", স্পষ্ট জানান রাকেশ। প্রতিবাদস্থলে অনশনে বসারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাকেশ টিকাইত, নিজের গ্রামের পানীয় জল ছাড়া আর কিচ্ছু মুখে না তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ঝিমিয়ে পড়া প্রতিবাদ আন্দোলনে প্রাণ ফেরাল রাকেশ টিকাইতের চোখের জল।