#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ বা রেশন নিয়ে কোন দলবাজী বরদাস্ত করবে না তৃণমূল তেমনই নির্দেশ ছিল সারা রাজ্যে জুড়ে। কিন্তু জেলা থেকে, তা অমান্য করার অভিযোগ আসে দলের রাজ্য দপ্তরে। ভুরিভুরি অভিযোগ আসে দিদিকে বলো 'র অভিযোগ হেল্প লাইনেও। তার পরই নড়ে চড়ে বসে দল। আর জেরে জেলার বর্ষীয়ান নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বিষ্ণুপুর পুর সভার প্রশাসক শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় সহ দলের তিন নেতা কোপে পড়লেন। আজ বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল জানান, করোনার রেশন এবং ত্রাণ বিলিতে দলবাজী, প্রশাসনিক কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে শ্যাম প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি, আরও দুই নেতা কে শোকজ করেছে দল। বাকি দুজন হলেন, পাত্রসায়রের তৃণমূল ব্লক সভাপতি পার্থ প্রতিম সিংহ এবং তালডাংরার যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাপস সুর। এদের একজনের বিরুদ্ধে আবার অবৈধ বালি গাড়ীর চালক কে আইনি ঝামেলা থেকে বাঁচানোর অভিযোগও আছে। শুভাশিষ বাবু জানান, এই তিন জনের শোকজ লেটার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।এই লেটার পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাদের উত্তর দিতে হবে। সেই উত্তরের ভিত্তিতেই দল পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। বাঁকুড়া জেলা থেকেও এই তিন জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা হবে। এবং তার রিপোর্ট রাজ্যে পাঠানো হবে।
এদিকে,বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, কোভিড আবহে তিনি বিষ্ণুপুরের মানুষের পাশে থেকেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে কাজ করে চলেছেন। তাই এমন অভিযোগ ওঠা তার কাছে বিষ্ময়কর ঠেকছে! তবে, দল যদি শোকজ করে থাকে, তার কাছে শোকজের চিঠি আসে, তবে তার উত্তর তিনি দেবেন। এখনও কিছু হাতে পাননি বলেও দাবী করেন এই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা।
অন্যদিকে,জেলার রাজনীতিতে চানক্য হিসেবে পরিচিত শ্যামবাবুকে এই ভাবে দল শোকজ করায় তার অনুগামীরা এর মধ্যে লবিবাজীর ভুত দেখছেন। তারা ইঙ্গিতে শ্যাম বাবুর বিরোধী শিবিরকেই দুষছেন পুরোদমে। তাদের দাবী, শ্যাম কর্তার বিপক্ষ গোষ্ঠী কলকাঠি নেড়ে তাদের নেতাকে বিপাকে ফেলার কৌশল নিয়েছে। তা ঠেকাতে,তারা প্রয়োজনে দল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও দরবারের জন্যও তৈরী হচ্ছেন।