দেখুন যে ভাবে আল্লাহর অলীকে বেঈমান বানালো ইবলিশ!! শিক্ষনীয় ঘনটা!! সময় থাকতে সাবধান!!

আলোর পথ 2020-03-29

Views 7

ঈমান আনার পর ঈমান রক্ষা করা আরো অনেক বেশি কঠিন। তখন শয়তান মু’মিন ব্যক্তিটাকে পেয়ে বসতে অনেক কায়দাই করতে থাকে।

হাদিসে উল্লেখিত আল্লাহর ইবাদতে মশগুল এক বান্দার কাহিনী এক্ষেত্রে অনেক শিক্ষণীয় আমাদের জন্য। কীভাবে কী থেকে কী হয়ে গেলেন তিনি। (আল্লাহ আমাদের মাফ ও হেফাজত করুক) চলুন কাহিনীটি জানা যাক।

বারসিসা বনী-ইসরাইলের একজন সুখ্যাত উপাসক, ধর্মযাজক ও ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিল। সে উপাসনালয়ে একনিষ্ঠভাবে নিজেকে আল্লাহর উপাসনায় নিয়োজিত রাখত। তার সময়ে বনী-ইসরাইল জাতির মধ্যে তিন ভাই সিদ্ধান্ত নিল যে তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। কিন্তু তাদের একটি বোন ছিল এবং তারা ভেবে পাচ্ছিলো না যে বোনটিকে তারা কার নিকট রেখে যাবে। লোকজনদের পরামর্শ অনুযায়ী সেই তিন ভাই বারসিসার নিকট গেল। তারা গিয়ে বারসিসাকে বলল যে তারা আল্লাহর রাস্তায় যেতে চায়, এখন তাদের বোনটিকে কি সে দেখে রাখতে পারবে মন্দলোকের থেকে আর তার যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে কি না। এর উত্তরে বারসিসা বলল যে, সে তাদের কাছে থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায় এবং তারা যেন তার কাছে থেকে চলে যায়।

কিছু সময় পর তার মনে হল যে, (মূলত: শয়তান এসে তাকে বলল) তুমি এত সৎ ব্যক্তি, তুমি যেহেতু মেয়েটিকে দেখাশোনার দায়িত্ব নিলে না, তাহলে নিশ্চয়ই কোনো মন্দ ব্যক্তি মেয়েটির দায়িত্ব নেবে আর এরপরের ব্যাপারটি কি হবে তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো, এই অসহায় মেয়েটিকে আশ্রয় দেয়ার মত ভালো কাজ তুমি ছেড়ে দিতে পারো না। এর কিছু সময় পর বারসিসা সেই তিনভাইকে ডেকে বলল যে তাদের কথা সে রাখতে পারে তবে তাদের বোন তার ধারের কাছেও থাকতে পারবে না, উপাসনালয়ের কাছেও না; অদূরেই তার একটি পুরোনো বাড়ি আছে সেখানে রাখতে যদি তাদের কোনো আপত্তি না থাকে তবে। মেয়েটি সেই পুরোনো বাড়িতে আশ্রয় নিলো। বারসিসা প্রতিদিন তার উপাসনালয়ের দরজার সামনে মেয়েটির জন্য খাবার রেখে দিত। সে মেয়েটিকে খাবার পর্যন্ত দিয়ে আসত না। মেয়েটিকে প্রতিদিন কিছুদূর পথ পেরিয়ে উপাসনালয়ের দরজার সামনে থেকে খাবার নিয়ে যেতে হত। বারসিসা মেয়েটির দিকে তাকিয়ে পর্যন্ত দেখত না।

এরকম কিছুদিন যাওয়ার পর তার মনে হল যে, (মূলত: শয়তান এসে তাকে বলল) এতটুকু হেঁটে আসতে এই অসহায় মেয়েটির অবশ্যই কষ্ট হয়, তাছাড়া দুষ্ট লোকের নজর তার দিকে পড়ে। সুতরাং তার উচিত হবে মেয়েটির খাবার তার আশ্রয়স্থলে গিয়ে দিয়ে আসা। এরপর থেকে বারসিসা মেয়েটির আশ্রয়স্থলে গিয়ে প্রতিদিন দরজার সামনে খাবার রেখে আসত।

কিছুদিন পর শয়তান এসে আবার বারসিসাকে বলল যে, (মূলত: তার মনে হল) দরজা থেকে খাবার নেয়ার সময় মন্দ লোকের নজর মেয়েটির উপর পড়তে পারে, তাই তার উচিত হবে খাবার ঘরের ভিতর দিয়ে আসা। এরপর থেকে বারসিসা মেয়েটির ঘরে খাবার দিয়ে আসত এবং এক মূহুর্তও অপেক্ষা করত না। এমতবস্থায় শয়তান আবার বারসিসার কাছে (মূলত: তার চিন্তায়) এসে বলল যে, সে যে মেয়েটি একা একা রাখছে এতে মেয়েটির হয়ত খারাপ লাগছে, তার তো আপন কেউ কাছে নেই, সে কোথাও বেরও হতে পারে না, কারো সাথে কথাও বলতে পারে না, ঠিক যেন জেলখানায় বন্দি হয়ে আছে। হয়ত পরে দেখা যাবে মেয়েটি বিরক্ত হয়ে ভুল পথে চলে যেতে পারে, পর কোনো পুরুষের সংস্পর্শে চলে আসতে পারে। সেই সময় শয়তান বারসিসার মনে উপস্থিত হল। সে ভাবলো খাবার যখন দিয়েই আসছি, কিছু সৌজন্যমূলক কথা-বার্তা বলা যেতেই পারে, তবে তা ঘরের ভিতরে না হয়ে ঘরের বহিরে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে। এরপর তারা এভাবে চিৎকার করে সামান্য কিছু কুশল বিনিময় করা শুরু করল। এভাবে কিছুদিন চলল। এরপর শয়তান আবার তার মনে উদয় হল এবং বলল যে, এত কঠ

Share This Video


Download

  
Report form
RELATED VIDEOS