True News is our main policy
যেদিন রাতে মৃত্যু হয় তারপরেরদিনই নাকি সিলেট যেতে চেয়েছিলেন সালমান শাহ। এমনটাই জানালেন সালমান শাহের মামা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আলমগীর কুমকুম। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে স্কাইপে সংলাপে অংশ নিয়ে আরো গুরুতর তথ্য প্রকাশ করেছেন তিনি।
আলমগীর কুমকুম বলেন, সে ( সালমান শাহ) যেদিন মারা যায় সেদিন রাত ১১ টার সময় আমাকে ল্যান্ডফোনে ফোন দেয়। আমাকে বলে মামা তুমি নাকি সকালে ঢাকায় আসতেছ? আমি বললাম হ্যাঁ তোমার ছোট খালা যাচ্ছে, ওদের সাথে আমিও আসবো। আমি কাল জুম্মাবার ফার্স্ট ফ্লাইটে সিলেট আসতেছি এসে তোমার সাথে জুম্মার নামাজ পড়বো। সিলেট থাকবো রিলাক্স করবো।
সালমানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, আমি বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি বললাম কী সিদ্ধান্ত? সালমান বলল আমি একতা পেপারে সাইন করতেছি আমি সামিরাকে ডিভোর্স দিবো। এটাই ছিল সালমানের সাথে আমার শেষ কথা।
আলমগীর কুমকুম সিলেটের বাসায় সালমানের জন্য সকাল ১১ টা ১২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। কিন্তু সালমান আসেন নি, এসেছে তার মৃত্যুর খবর।
আলমগীর কুমকুম সামিরার দিকে অভিযোগ তুলে বলেন, সালমানকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য সামিরাকে আমি শেষ বিদায় জানানোর জন্য সিলেট আসতে বলি। ওর বাবা শফিকুল হক হীরা সামিরাকে আসতে দেয়নি। সামিরা কেন আসলো না, কেন তার চোখে পানি ছিল না? তিনি বলেন, লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ কে পাইছে? সামিরা পাইছে তার স্বজন পাইছে পুলিশ তো পাইছে।
সম্প্রতি, প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত রাবেয়া সুলতানা রুবির ভিডিওবার্তায় নিয়ে প্রবাসীদের মাঝেও শুরু হয়েছে তোলপাড়। রুবি সোমবার ফেইসবুকে এক ভিডিওবার্তায় সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন। রুবি বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। সালমান শাহকে খুন করা হইছে, আমার হাজব্যান্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ।
রুবি জানান, স্বামীর নাম চ্যাংলিং চ্যাং, যিনি বাংলাদেশে জন চ্যাং নামে পরিচিত ছিলেন। ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর সড়কে সাংহাই রেস্টুরেন্ট নামে তার একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁ ছিল। চিত্রনায়ক সালমান শাহ স্ত্রী সামিরাকে নিয়ে যে এপার্টমেন্টে থাকতেন, সেখানেই একটি ফ্ল্যাটে রুবি