ভিনদেশি সংস্কৃতি আর আধুনিক প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায়, বিলুপ্তির পথে দেশীয় লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী অঙ্গ, যাত্রাপালা। কিছু জায়গায় মঞ্চস্থ হলেও যাত্রাপালার নামে চলে অশ্লীলতা। তবে পুরনো ঐতিহ্য ধরে রেখে সম্প্রতি মানিকগঞ্জে হয়ে গেলো যাত্রাপালা।
শীতের রাতে গভীর আগ্রহে এভাবেই মঞ্চের সামনে বসে দর্শকরা। কিছুক্ষণ পরই মঞ্চায়ন হবে যাত্রাপালা। অন্যদিকে, শিল্পীরা ব্যস্ত চরিত্র অনুযায়ী নিজেদের সাজাতে।
এরপর একে একে যাত্রামঞ্চে আসেন শিল্পীরা।
সংলাপের সঙ্গে বাদ্যের তালে ফুটে ওঠে সমাজের নানা দিক।
সিনেমা, টেলিভিশনের কল্যাণে বিনোদনের রূপ পাল্টেছে। কিন্তু যাত্রার আবেদন রয়ে গেছে এখনও।
এক সময় আশ্বিন মাসে দুর্গাপূজার পর থেকে ৬ মাস চলতো এমন যাত্রা। কিন্তু এখন মঞ্চস্থ হচ্ছে ২ দিন, বড়জোড় এক সপ্তাহ। তাই ভালো নেই এ পেশার সঙ্গে জড়িতরা।
যাত্রা শিল্পকে বাঁচাতে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
অষ্টাদশ শতকে যাত্রা বাংলা ভূ-খণ্ডের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। আর উনবিংশ শতকে পৌরাণিক কাহিনীভিত্তিক যাত্রা লাভ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।