দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনো পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার। নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এদিকে, অমাবশ্যার জোয়ারে বরগুনার ৩শ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বরগুনার পাথরঘাটার জ্বিনতলা ও কাঠালতলী ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের ৪টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙণ। এতে বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে ৮টি গ্রাম।
পদ্মা নদীতে পানি বাড়ায় মাদারীপুরের শিবচরের ৫ টি ইউনিয়নে পানিবন্দি রয়েছে অন্তত ৬ হাজার পরিবার। গত দু'দিনে পানি কমতে শুরু করলেও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
মানিকগঞ্জ ও ফরিদপুরে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি দুর্গত মানুষের। বিভিন্ন উঁচু জায়গা, বেড়িবাঁধ ও সড়কের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।
পানি কমতে শুরু করলেও তলিয়ে রয়েছে কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ।