তিস্তা ও যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এর অববাহিকায় সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করেছে প্রশাসন। এছাড়া, অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে মাথা গোঁজায় ঠাঁই হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। খাবার আর বিশুদ্ধ পানির অভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন নিম্ন আয়ের লোকজন।
টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি ১২ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। লালমনিরহাট ও নীলফামারিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
যমুনা নদীর পানিও প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার চরাঞ্চল। তলিয়ে গেছে সিরাজগঞ্জের পাঁচ উপজেলার চর এলাকা।
কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সব কটি নদীর পানি বেড়ে দু’কূল ছাপিয়ে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ।
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সাত উপজেলায় ডুবে গেছে ফসলি জমি, ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ।