চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরেকটি নতুন জাতের আম উদ্ভাবন করেছেন, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। জানুয়ারি থেকে মার্চ এই সময়ে যখন গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ, তখন খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে এই জাতের আম। গাছগুলোর এ বৈশিষ্ট্য স্থায়ী হলে দেশে আম উৎপাদনে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের। এই আমের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
জেলার লাখ লাখ আমগাছে এখন মুকুলের সমারোহ। ব্যতিক্রম শুধু আম গবেষণা কেন্দ্রের কয়েকটি গাছ। থোকায় থোকায় ঝুলছে, আম। কোনটি সবুজ আবার কোনটিতে লেগেছে হলদে রংয়ের ছোঁয়া।
আগাম আমের এই জাত উদ্ভাবন করেছেন জেলার আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ডক্টর জমির উদ্দিন। তার মতে, এই আম পেকে যায়, জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই।
আড়াইশো থেকে সাড়ে তিনশো গ্রাম ওজনের এই আম এরই মধ্যে স্থানিয় কৃষকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নতুন এই আমের নামকরণ হয়নি এখনো। এর বৈশিষ্ট নিয়ে আরো এক বছর গবেষণা করবেন বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আমের নতুন ১১টি জাতের মধ্যে ৮টিই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন।