05_03_2016
খাগড়াছড়ি জেলার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি এখন দখল করে নিচ্ছে তামাকের আবাদ। উচ্চ ফলনশীল তামাক চাষে বেশী মাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে অন্যান্য ফসল চাষেও বিরুপ প্রভাব পড়ছে। এতে একদিকে যেমন বাড়ছে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়ছে স্থানীয়ভাবে খাদ্য নিরাপত্তা। তামাক চাষ নিয়ে রেজওয়ান করিমের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ প্রথম পর্ব।
খাগড়াছড়ি। পাহাড় জুড়ে নয়ানাভিরাম সবুজের সমারোহ ছাঁপিয়ে নীল দিগন্ত।মাঝে দূরন্ত ছড়ি বা ঝর্ণা। আঁকাবাঁকা নদী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমির মাঝেই বেড়ে ওঠা মানুষেরা।
প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়েই এগিয়ে চলা এদের জীবন জীবিকা। একসময় এই পাহাড়ী ভূমিতে ধান, আলুসহ নানা শস্য-সবজি আবাদ করে চলতো এই মানুষগুলোর জীবন নির্বাহ। এই শস্য বোনা আর তোলা নিয়েই তাদের সমাজ আর সাংস্কৃতি।
তবে গত কয়েক বছরে পাল্টে গেছে সেই চিত্র।
দেশী-বিদেশী তামাক কোম্পানীর অধিক মুনাফা লাভের প্রলোভনের ফাঁদে জেলার ৯ উপজেলার কৃষকরা ঝুঁকছেন সর্বনাশা তামাক চাষে।
এই সহজ সরল মানুষগুলোর ধারণাও নেই তামাকের নীল বিষে দিন দিন কিভাবে নীল হয়ে উঠছে তাদের উর্বর জমি। বিশুদ্ধ বাতাস ভাড়ি করে তুলছে। বাড়ছে শিশু নারীসহ সবার স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
শুধুমাত্র কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী খাগড়াছড়ি জেলায় গত বছর নতুন করে তামাক চাষ শুরু করেছে ৯’শ ৪৫ হেক্টর জমির চাষিরা। চলতি মৌসুমে এই পরিমাণ বেড়েছে আরো কয়েকগুন।
এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব না হলে আগামী কয়েক বছরে জেলার কৃষিতে দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাবের আশংকা করেছেন, কৃষি সংশ্লিষ্টরা।