শেরপুরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

Rezowan 2016-02-04

Views 1

বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত আর মিয়ানমারের সীমান্ত। যার বেশীরভাগই অরক্ষিত। এ সুযোগে সীমান্ত পেড়িয়ে বাংলাদেশের সন্ত্রাসীরা যেমন ঠাঁই করে নিচ্ছে ভারত আর মিয়ানমারে; তেমনি এই দুই দেশের সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আস্তানা গাড়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত আর দূর্গম এলাকাগুলোতে। সম্প্রতি শেরপুরের নালিতাবাড়ির পাহাড়ি এলাকায় এমনই এক ভিনদেশী অনুপ্রবেশকারীদের আস্তানা থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র, গুলি ও যোগাযোগ উপকরণ উদ্ধার করে র‌্যাব ৫।
জাতিগতভাবে শান্তি প্রিয় বাঙালীরা সোচ্চার সন্ত্রাস, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। এগারো এগারো হামলায় সংশ্লিষ্ট জঙ্গি নির্মূলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রও ব্যর্থ হয়। অথচ ২০০৫ এ এদেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা জা’মায়াতুল মুজাহিদ্বীন বাংলাদেশ, জেএমবি কিংবা হুজিবি’র মতো জঙ্গী সংগঠণের সর্বোচ্চ সূরা সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচার রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে এই ক্ষেত্রে সফলতার নজির রাখেছে এ দেশ।
শুধু দেশী হামলাকারীদের নির্মূলে করেই শান্তিতে বসে নেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। বিভিন্ন সময় দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর হাতে গ্রেফতার হয়েছে ভিনদেশী অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় ডি কোম্পানীর সদস্য, উলফার শীর্ষ নেতারা। পাশাপাশি সীমান্ত পেরুনো সন্ত্রাসীদের আস্তানার গাড়ার চেষ্টা প্রতিহতেো সদা সচেষ্ট তারা ।
গত বছরের আগষ্টে বান্দরবানের থানচিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বিজিবি’র টহল দলের উপর হামলা চালানো মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন 'আরাকান আর্মি'রাঙামাটির রাজস্থলীর আস্তানায় হানা দিয়ে ২ বিচ্ছিন্নবাদীকে আটকসহ উদ্ধার করে ঘোড়া, আরাকান আর্মির পোশাক, ল্যাপটপ ও ক্যামেরা।
চলতি সপ্তাহেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতের মেঘালয় রাজ্য ঘেষা শেরপুর সীমান্তের কালাপানি জঙ্গলে অস্ত্র মজুদের সন্ধান পায় র্যা ব। চারটি স্পটে রোববার রাত থেকে টানা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় বিমান বিধ্বংসী গোলাবারুদ, অত্যাধুনিক অস্ত্র, স্যাটেলাইট ফোন ও ৪৮ হাজার গুলিসহ সামরিক পোশাক।
এঅস্ত্র ভান্ডারের নেপথ্য নায়কদের খোঁজে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
এরআগে ২০০৭ সালে এ জেলার বাকাকুড়া গ্রামে ভারতের বিচ্ছিন্নতা সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম, উলফার এক সদস্য গ্রেফতার হয় বিপুল পরিমান গুলিসহ। এরপর ২০১০ সালে এ গ্রাম থেকেই উদ্ধার হয় অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সাংগঠনিক দলিল দস্তাবেজ।
এ নিয়ে আতংকিত এলাকাবাসীও।
তবে সবচেয়ে বড় আতঙ্কের বিষয় ভিন্ন। গায়ে রাজনীতির চাদর উড়িয়ে যারা শুধুমাত্র পেট্রোল সন্ত্রাসে প্রতি বছর কেড়ে নিচ্ছে অগনিত মাসুম প্রাণ। তাদের হাতে যদি ভিনদেশী সন্ত্রাসীরা অর্থের বিনিময়ে এসব অস্ত্র তুলে দেয়; তবে কতটা নিরাপদ থাকবে সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন জনগণের।

Share This Video


Download

  
Report form
RELATED VIDEOS