নানা গন্ধের নানা ব্রান্ডের সুগন্ধি বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু সব সুগন্ধি কি আপনার পছন্দের বা সব পারফিউম কি আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যাচ্ছে? সব সুগন্ধি সব জায়গায় সব সময় ব্যবহার করা যায় না। কড়া সুগন্ধি মেখে নিশ্চয়ই আপনি আফিসে যাবেন না। আবার জমকালো পার্টিতে হালকা, সাদামাটা সুগন্ধিও যেন বেমানান। পোশাকে যেমন আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে, সুগন্ধির ক্ষেত্রেও তাই। সুগন্ধি আপনাকে দেবে স্বচ্ছ, নিখুঁত হওয়ার প্রেরণা। একটি ভাল মানের সুগন্ধি আপনার দেহজুড়ে ১০ ঘণ্টা বা তার অধিক ঘ্রাণ ছড়িয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় বাজারে পছন্দমত সুগন্ধি পাওয়া যায় না। আবার বাজারের সুগন্ধি ব্যবহারে অনেকের ত্বকে হতে পারে র্যাশ। যদি সুগন্ধিটা নিজে বানিয়ে নেওয়া যেত তবে কেমন হত? মাত্র তিনটি উপাদান দিয়ে এক মিনিটে ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারেন নিজের পছন্দের সুগন্ধি।
যা যা লাগবে_
একটি খালি স্প্রে বোতল
চিনিমুক্ত ভ্যানিলা এসেন্স
এসেন্সিয়াল অয়েল ( ল্যাভেন্ডার, রোজমেরী, জেসমিন)
যেভাবে তৈরি করবেন_
স্প্রে বোতলটি ভাল করে ধুয়ে নিন। পুরাতন কোন সুগন্ধির শিশি ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ এতে পুরাতন সুগন্ধির ঘ্রাণ থেকে যায়। তাই নতুন কোন স্প্রে বোতল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
খালি স্প্রে বোতলে ভ্যানিলা এসেন্স ঢালুন।
এতে আপনার পছন্দমত এন্সেসিয়াল অয়েল যোগ করে নিন। ল্যাভেন্ডার, রোজমেরী, জেসমিন , গোলাপ যে কোন এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
এখন খুব ভাল মত ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিন।
তারপর নিজের হাতের উলটো পিঠের এক অংশে স্প্রে করে দেখুন কি দারুণ ঘ্রাণের একটি সুগন্ধি তৈরি হয়ে গেছে।
কোথায় পাবেন?
ভ্যানিলা এসেন্স আমাদের আশেপাশের দোকান গুলোতে পাওয়া যাবে। তবে একটি ভাল মানের ভ্যানিলা এসেন্স ব্যবহার করা উচিত। ভ্যানিলা এসেন্স অব্যশই চিনিমুক্ত হতে হবে। এসেন্সিয়াল অয়েল যে কোন বড় সুপারশোপ গুলোতে পাওয়া যাবে।